বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুপার জিনিয়া চাকমা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছন। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি পুলিশ হেফজতে ছিলেন। নিহত পর্যটক স্মৃতি আকতারের বাবা বেলা ১১টার দিকে মামলা করলে বর্ষাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এজাহারে স্মৃতি আক্তারের বাবা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে স্মৃতি আক্তার (২৪) গ্রুপটি আয়োজিত ‘ক্রিসতং-রুংরাং সামিট’ ট্যুরে অংশ নিতে গত ৮ জুন ঢাকার রামপুরা থেকে যাত্রা শুরু করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত বর্ষা ইসলাম প্রশাসনের কোনো অনুমতি কিংবা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রস্তুতি ছাড়াই ৩৩ জন সদস্য নিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ট্যুর পরিচালনা করেন। মাত্র একজন স্থানীয় গাইড এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াই পুরো আয়োজন চালানো হয়।
এছাড়া, অভিজ্ঞতাহীন সহকারী হাসান চৌধুরী শুভকে দায়িত্ব দিয়ে ২১ জন পর্যটককে পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে আলীকদমের দিকে পাঠানো হয়। ১১ জুন বিকেলে কুরুকপাতা ইউনিয়নের শামুক ঝর্ণা এলাকায় প্রবল বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে পানির স্রোতে স্মৃতি আক্তার, সহকারী হাসান চৌধুরী শুভ এবং আরেক পর্যটক শেখ জুবাইরুল ইসলাম নিখোঁজ হন।
পরদিন ১২ জুন মাতামুহুরি নদী থেকে শেখ জুবাইরুল ইসলামের এবং ১৩ জুন তৈন খাল থেকে স্মৃতি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে হাসান চৌধুরী শুভ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিন বলেন, ‘দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে বর্ষা ইসলাম বৃষ্টির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ শুভকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।’
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম রিমন বলেন, ‘অকাল কোনো মৃত্যু কাম্য নয়। ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অ্যাডমিন বর্ষা ইসলামের দায়িত্বহীনতার কারণেই অকালে তিনটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’