খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের শিবনগর এলাকার জগদিসপুর মোজায় ৩০ থেকে ৪০ জনের ১৮০ বিঘা জমি রয়েছে। তবে এসব জমি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বেগপুর গ্রামের আজগর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তির দীর্ঘ সময় ধরে ঝামেলা চলে আসছে।
জানা যায়, গত ১ মে সকালে এসব জমিতে যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা হচ্ছিল। এসময় পুলিশ ধান কাটা বন্ধ করতে গিয়ে নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়, এমনকি গুলিও চালানো হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ১১ জন নারী।
এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভাইরাল হলে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রইচ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে, এ ঘটনায় গত মাসে গোমস্তাপুর থানার এসআই আজিম আলীকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুধু লাঠিচার্জ নয়, ঘটনাস্থলে পুলিশের পক্ষ থেকে ছোড়া হয় রাবার বুলেট।
অভিযোগ রয়েছে, গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দীনের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে এই লাঠিচার্জে নেতৃত্ব দেন একই থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আজিম।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কায়েমপুর ইউনিয়নের জগদিসপুর মোজায় ১৮০ বিঘা জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল অনেক আগে থেকে। পরে আদালতে মামলা করে জমির মালিকানা পেয়েছেন রফিকুল ইসলামের পক্ষ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করেছেন আজগর আলীর পক্ষের লোকজন।’
তিনি বলেন, ‘গত ১ মে এসব ধান কাটছিল রফিকুল ইসলামের কিছু লোক। বিষয়টি জানতে পেরে ধান কাটা বন্ধের জন্য ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু সরকারি কাজে বাধা দেন স্থানীয় কয়েকজন নারী। তাই তাদের শুধু ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘গোমস্তাপুর উপজেলায় নারীদের উপর লাঠিচার্জের একটি ভিডিও দেখে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রইচ উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’