এদিকে, আজ দুপুর ১ টার দিকে জেলার বামনা উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আ. রহমান মল্লিকের শিশু কন্যা রাইছা (১০) ডেঙ্গু রোগের লক্ষ্মণ নিয়ে মারা গেছেন। শিশুটিকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান।
এ নিয়ে চলতি বছর জেলায় বেসরকারি হিসেবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা ২০ জনের বেশি। এদের মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেই মারা গেছেন ৬ জন। বাকিরা সবাই উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে বা জেলার বাইরের হাসপাতালে কিংবা বাড়িতে মারা গেছেন।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, শিশু রাইছাকে কিছুদিন পূর্বে মেডিকেল সহকারী ডা. এনামুল হক তুহিনকে দেখিয়েছিল। তখন তিনি এনএসওয়ান ও সিবিসি পরীক্ষা করান। তাতে ডেঙ্গু নেগেটিভ হয় তবে তার প্লাটিলেট কম হওয়ায় ওই চিকিৎসক শিশুটিকে বরিশালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে বরিশালের চিকিৎসক তালুকদার মজিদকে দেখায়। বরিশালের পরীক্ষায় ওই রোগীর এনএসওয়ান নেগেটিভ ও প্লাটিলেট স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু কম আসে। স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে ডা. তালুকদার মজিদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করায়।
শনিবার দুপুরের দিকে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটি মারা গেছে। তবে, শিশুটি ডেঙ্গুর সকল লক্ষণ নিয়ে মারা গেছে।





