জানা যায়, প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাসালিয়া প্রাইমারি স্কুলের পাশ দিয়ে এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। কাজটি পায় ভূঞাপুরের এমদাদ এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ওই সময় সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেনের প্রভাব খাটিয়ে মোতালেব হোসেন নামের এক ব্যক্তি কাজটি কিনে নেন। পরবর্তীতে কাজটি বাস্তবায়ন করেন শামীম হোসেন নামের অপর এক ব্যক্তি। কাজটি গত বছর ৮ এপ্রিল শুরু হয়ে গত ৭ এপ্রিল শেষ হয়েছে।
সড়ক সোল্ডার অংশসহ ১৬ ফুট হওয়ার কথা থাকলেও কোথা কোথাও ১০ থেকে ১২ ফুট করা হয়েছে। এছাড়াও সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সড়কের দক্ষিণ পাশে নিম্নমানের চিকন বাঁশ দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। যে কারণে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই ভেঙে গেছে। এছাড়াও সড়কের বিভিন্ন অংশে দুই পাশে গাছ থাকলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সে দিকে ভেঙে যাচ্ছে। যে কারণে মাঝারি যানবাহন নিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নির্মাণের সময় ঠিকাদার ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবগত করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘এ সড়কটি টাঙ্গাইল সদরের সাথে কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ ব্যবহার করে থাকে। ভালোভাবে বৃষ্টি শুরুই হয়নি, তাতেই সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এমন হচ্ছে।’
ঠিকাদারের দায়িত্বে থাকা শামীম হোসেন বলেন, ‘সঠিকভাবেই কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার জানা মতে ঠিকাদার সঠিক নিয়মেই কাজটি করেছেন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’