মানববন্ধনে ও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশ কোম্পানি সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজ করছে। যশোর পাওয়ার হাউজে সঞ্চালন লাইনটি প্রবেশের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন হরিণার বিলের মধ্য দিয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনের কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু যেসব জমির ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইনটি যাবে তার মালিকদের কোনো প্রকার অবহিত এবং জমি অধিগ্রহণ করা ছাড়াই জোরপূর্বক কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাদের সঞ্চয় ভেঙে এর আশেপাশে জমি ক্রয় করেছেন।
বর্তমানে এসব জমির প্রতি শতকের মূল্য ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ-এর এ সঞ্চালন লাইনটি নির্মাণ করা হলে লাইনের দুইপাশের শত শত মানুষের মূল্যবান জমিগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় সঞ্চালন লাইনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল জমি বাজার মূল্যে অধিগ্রহণ ছাড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় যে কোন মূল্যে নির্মাণ কাজ প্রতিরোধ করার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক তরিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান ভিটু, নাছির আহমেদ, জুয়েল মৃধা, তবিবর রহমান, শুকুর আলী, বজলুর রহমান, তোতা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।