আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ নুরুল হুদা খান।
আহতদের মধ্যে একজন কাইয়ূম মিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিদিনের মতো রাতে খাওয়ার পর ঘরে বসেছিলাম। হঠাৎ একটা শিয়াল এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে কামড়ে দেয়। শুধু আমাকে নয় পাড়ার আরও ১৬ জনকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ নুরুল হুদা খান বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাতে শিয়ালের কামড়ে আহত ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। সবাইকে জলাতঙ্কের প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। শিয়ালটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে যাকে কামড় দিবে সেও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা বিষয়টি স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
এদিকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্যা এনিমেলস অব সুসংয়ের সহ-সভাপতি সুমন রায় জানান, মানুষের তারা খেয়েই হয়তো প্রাণ বাঁচাতে শিয়ালটি মানুষকে কামড় দিতে পারে। তবে বিষয়টি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ঘটনা।
তিনি আরো জানান, আগে যে পরিমাণ বন জঙ্গল ও ঝোপঝাড় ছিল তার কোনোকিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই। ফলে শিয়ালের মতো উপকারী বন্যপ্রাণীরা আশ্রয় ও খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, যার ফলে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটছে। এছাড়াও মদন একটি হাওর অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ায় এক সময় মেছো বিড়ালের আবাসস্থল থাকলেও মানুষের রোশনালে প্রাণীগুলো আজ বিলুপ্তির পথে।