খেলাধুলা ছাড়া তরুণ প্রজন্মকে ভালোভাবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। অথচ ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়ায় নেই ক্রীড়া সংস্থার কোনো ভবন। আর নলছিটি উপজেলায় ক্রীড়া সংস্থার ভবন থাকলেও তা পরিত্যক্ত। উপজেলায় হচ্ছে না সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ার কোনো নিয়মিত আয়োজন।
যেখানে একসময় খেলোয়াড়দের পদচারণায় মুখর থাকতো উপজেলার মাঠ, সেখানে আগের মতো নেই চাঞ্চল্য।
সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ার কোনো আয়োজন না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ছে ঝালকাঠির তরুণ সমাজ। এতে তারা ঝুঁকছে মাদকের দিকে। কোনো ধরনের খেলার আয়োজন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়রা।
খেলোয়াড়রা জানান, মাঠ থাকলেও কোনো ক্রীড়া সংস্থা নেই। বিশ্রাম কিংবা নিজেদের জিনিসপত্র রাখার মতো কোনো ভবন নেই। পুরোনো ভবন যা আছে তা এখন মাদকাসক্তদের আখরা। এ সময় ক্রীড়া সংস্থার ভবন তৈরির দাবিও জানান খেলোয়াড়ররা।
তবে খেলোয়াড়দের কথা মাথায় রেখে একটি পুরাতন ভবনকে সংস্কার করে ক্রীড়া সংস্থার অফিস হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান, কাঠালিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার।
কাঠালিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘কাঠালিয়ায় প্রতিবছরই ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। আমরা দেখেছি খেলোয়াড়দের বসার মতো কোনো জায়গা নেই। উপজেলা পরিষদের ভেতরে একটি পুরোনো ভবনকে আমরা সংস্কার করে তাদের বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’
নলছিটি উপজেলায় ভবন সংস্কারে জেলা পরিষদ থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি দুই উপজেলায়ও ভবন নির্মাণ বা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের আশরাফুর রহমান বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে অনুদান নিয়ে আমরা এরইমধ্যে ভবন সংস্কারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের বাকি উপজেলাগুলোতেও ভবন রয়েছে। আমরা জেলা পরিষদ থেকে সেগুলোও সংস্কারের কার্যক্রম গ্রহণ করবো।’
পরিকাঠামোর অভাব নেই, কিন্তু সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও সঠিক দিকনির্দেশনার ঘাটতিতে হারিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনার অপার সুযোগ।
একদিকে ভবন আছে, মাঝে মধ্যে বরাদ্দও আসে। তবুও পড়ে আছে পরিত্যক্ত। অথচ সচল ব্যবস্থাপনায়, এসব ভবনই হতে পারতো তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলার শক্তিশালী মাধ্যম।