দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পটুয়াখালীর মুরাদিয়া নদী

পটুয়াখালীর মুরাদিয়া নদী | ছবি: এখন টিভি
0

দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ শহর-উপশহরের বাণিজ্য এবং চাষাবাদ নদী-খাল কেন্দ্রিক। পটুয়াখালীর মুরাদিয়া নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার আর জনপদ। নদীতে পলি জমে দখল-দূষণে খালে পরিণত হয়ে এখন অস্তিত্ব সংকটে। শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্যতা আর বর্ষায় জলাবদ্ধতায় দিশেহারা হয়ে পড়ে মানুষ। নদী রক্ষা ও রাজস্ব আদায়ে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মুরাদিয়া নদী ৯০ দশকে যোগাযোগে আর বাণিজ্যিক কার্যক্রমের একমাত্র মাধ্যম ছিল। ঝালকাঠির বাকেরগঞ্জ আর পটুয়াখালীর গলাচিপা শহরের সঙ্গে চলতো এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

দুই যুগে ৫০ ফুট চওড়া নদীটি দখল, দূষণ আর পলি জমে সংকুচিত হয়ে ৩০ ফুট প্রশস্তের খালে পরিণত হয়েছে। জীববৈচিত্র্য, যোগাযোগ, পানি সংকট আর জলাবদ্ধতায় দিশেহারা কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,খালটি অবৈধ দখল করে রেখেছে। সরকারকে খাজনা দেয় না। কিছু কিছু পরিবার আছে খালের উপর নির্ভরশীল। পানি শুকিয়ে গেলে তাদের অনেক সমস্যা হয়।

নদীর তীরের মানুষের অর্ধশত একরের অধিক জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি উপজেলার অন্যান্য খাল দখলমুক্ত করা আর ভূমির রাজস্ব আদায়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় প্রশাসন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাউফল আবুজর ইজাজুল হক বলেন, ‘মুরাদিয়া খালসহ যতগুলো খাল আছে তার তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো খাল দখলে আছে কি-না বা খালটি কার দখলে আছে জানার জন্য। পরবর্তীতে আমরা তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবো।’

সেজু