উপকূলের মানুষের নিরাপদ পানির সংকট ও সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে এ গবেষণায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ মেক্সিকো ইনস্টিটিউট অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
এ দলটি পশুর নদীর তীর বরাবর মোট ১২০ কিলোমিটার এলাকার ২৫টি স্থান এবং ক্ষেত থেকে ভূগর্ভের গঠন অনুসন্ধান করেন। এতে ব্যবহৃত হয় অ্যাডভান্সড ম্যাগনেটোটেলুরিক বা আধুনিক ভূ-তড়িৎ-চৌম্বকীয় পদ্ধতি যা মাটির গভীরে লবণাক্ত ও মিঠাপানির বৈদ্যুতিক রোধের পার্থক্য নির্ণয় করে।
আরও পড়ুন:
আবিষ্কৃত জলাধার দুইটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আর ওয়ান’ ও ‘আর টু’। আর ওয়ানের অবস্থান খুলনার উত্তর অংশে মাটির ৮০০ মিটার গভীরে এবং এটি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। পাশাপাশি ‘আর টু’ সর্বোচ্চ ২৫০ মিটার গভীরে এবং এটি ‘আর ওয়ান’ থেকে আকার ও বিস্তার উভয়দিকেই ছোট। মজার বিষয় এ দুই মিঠা পানির জলাধারের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে লবণাক্ত পানির ২০ কিলোমিটার প্রস্থের অঞ্চল যাকে ‘সি ওয়ান’ নামকরণ করা হয়েছে।
গবেষকদের ধারণা এ পানি তৈরি হয়েছিল প্লাইস্টসিন কিংবা শেষ বরফযুগে যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ আজকের থেকে অন্তত ১২০ মিটার নীচে ছিল। তখনকার বালুমিশ্রিত নদীপথে আসা বৃষ্টির পানিই ভূগর্ভে সঞ্চিত হয়েছে।
সে সময় উপকূলরেখা আরও দূরে হওয়ার পাশাপাশি ক্রমশ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীপথে আসা পলি এ জলাধারগুলোকে ঢেকে দেয়। এর ওপর যুক্ত হয় এলজিএমপি বা লাস্ট গ্লেশিয়াল ম্যাক্সিমাম প্যালেসল নামক এক প্রাচীন কাদামাটি স্তর। যা উপরের লবণাক্ত পানিকে ভূগর্ভের পানির থেকে আলাদা করে রাখে এবং এ কারণেই হাজার বছর আগের মিঠাপানিকে এখনো অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।





