এর আগে, পদ্মার ভাঙনে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট বিলীন হওয়ার পর অস্থায়ীভাবে লঞ্চ সার্ভিস স্থানান্তর করা হয়েছিল পাটুরিয়া ২ নম্বর ফেরিঘাটে। তবে গতকাল প্রবল স্রোতের কারণে ওই ফেরিঘাটের র্যাম্পের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে নৌপথে লঞ্চ যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে লঞ্চঘাটের জেটি নদীতে বিলীন হওয়ায় লঞ্চগুলোকে পাশের ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে সরিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকেই কোনোরকমে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছিলো। গতকাল সন্ধ্যার দিকে সেই ঘাটের একটি র্যাম্পের তার ছিঁড়ে পানিতে ডুবে যায়। আর একটি র্যাম্পের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। যেকোনো সময় এটার তারও ছিঁড়ে যাবে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আমরা লঞ্চগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাই।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে পাটুরিয়া ১ নাম্বার ফেরির ঘাট এলাকার পাশের কড়ইতলা এলাকা থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে, এখানে কোন পন্টুন নেই। আমরা খুব কষ্ট করে যাত্রী পারাপার করছি। দ্রুত আমাদের জন্য একটি স্থায়ী লঞ্চঘাটের ব্যবস্থা করা হোক। তা না হলে এই নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।’
গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পদ্মার প্রবল স্রোতে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের একটি জেটি ধসে পড়ে এবং অপর জেটি ঝুঁকিতে পড়ে। পরে জরুরি ভিত্তিতে লঞ্চগুলোকে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে সরিয়ে সীমিত আকারে যাত্রী ওঠানামা চলছিল।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান নৌপথ।