সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ‘শাপলা চত্ত্বর থেকে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ফ্যাসিস্টদের অত্যাচারে এখনও মায়েদের আর্তনাদ থামেনি। আর তখনই স্বার্থান্বেষীরা নেমেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্টেশন দখল, ঘাট দখলে, বালু লুটপাটে। তারা পাথর মেরে মানুষ হত্যা করে চিত্তবিনোদন করে, উল্লাস করে। আমরা ওদের ঘৃণা জানাই।’
ওই স্বার্থান্বেষী মহলকে বাংলার জমিন উৎখাতের আহ্বান জানান তিনি।
বক্তব্যকালে চরমোনাই পীর সব ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যের ডাক দেন।
তিনি বলেন, ‘এ ডাকে আমরা সাড়া পাচ্ছি। এখনই সুযোগ এসেছে ইসলামী শাসন কায়েম করা। এ দেখে ফ্যাসিস্ট চরিত্র ও চাঁদাবাজদের সহ্য হচ্ছে না, তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তারা ওলামাদের ও চরমোনাইয়ের বিরুদ্ধে লেগেছে। বিশেষ করে যাদের ডাকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছে। কিন্তু তারা এ ১৭ বছরে এক ট্রাক বালুও সড়াতে পারেনি।’
এসময় তিনি নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার ও শাপলা চত্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত সকল হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারকে মূল্যায়ন করতে হবে। তাই সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো নির্বাচন পদ্ধতি। এরপর সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এ সরকার বিচার যদি না করে অন্য সরকার এলে সেটা হবে গুড়েবালি।’
মতবিনিময় ও সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সুরা কমিটির সদস্য প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, জেলা আমীর বদরুদ্দীন, প্রবীণ আলেম আল্লামা শাহ আকরাম আলী, আল্লামা হেলালুদ্দিন সহ ইসলামপন্থী সকল দলের নেতারা।
তারা জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধন করে শাপলা চত্ত্বরের অবদান অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। সকল ইসলামী দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনে একজনকে নির্বাচিত করে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ইউনিয়ন থেকে গ্রাম-গঞ্জে নিজেদের সক্রিয় হওয়ার কথা জানান বক্তারা।