দেশের সবচেয়ে দরিদ্র বান্দরবানে, ৬৫.৩৬ শতাংশ

পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদন

বান্দরবান জেলা
বান্দরবান জেলা | ছবি: এখন টিভি
0

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার, যা মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্য কবলিত পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বাসিন্দা, যা ৬৫ দশমিক তিন ছয় শতাংশ। পরিকল্পনা কমিশনের ‘ন্যাশনাল মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এ তথ্য। সংকট উত্তরণে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গত ৩১ জুলাই রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে দরিদ্রতা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যে প্রতিবেদনে ওঠে আসে দেশের সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যের শিকার পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বাসিন্দারা। বাংলাদেশের বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের ওপর এটিই প্রথম প্রতিবেদন।

মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স বা এমপিআইয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশে তিন কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। প্রতিবেদনে উঠে আসে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে, আর এই হার সবচেয়ে বেশি পার্বত্য জেলা বান্দরবানে, যা ৬৫ দশমিক তিন ছয় শতাংশ।

প্রতিবেদনটির বয়সভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য হার বেশি। তবে দারিদ্র্যের এ হার পানির প্রাপ্যতা, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা, ইন্টারনেট সংযোগসহ ১১টি সূচকের সমন্বয়ে করা হয়েছে। তাই সংকট উত্তরণে সরকারকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন:

বান্দরবান সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সঞ্জীব কুমার চৌধুরী বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক যে সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে এসব যদি আমরা গড়ে তুলতে পারি যেমন আনারসের জুস প্ল্যান্ট বা আমের জুস প্ল্যান্ট তাহলে লোকজনের কর্মসংস্থান হতে পারে।’

জেলা প্রশাসক জানান, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নসহ বান্দরবানের সর্বস্তরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘তাদের উৎপাদিত পণ্য তারা এখন ঠিকঠাক মতো বাজারজাত করতে পারছে। পর্যটকদের সমাগম হয়েছে। এতে করে অচিরেই এর একটা ভালো ফলাফল আমরা দেখতে পাবো।’

স্থানীয়দের দাবি, বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের প্রসার, কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারকে দ্রুত ভূমিকা রাখতে হবে, তাহলে দারিদ্রসীমা থেকে মুক্ত হবে পার্বত্য এই জেলার ১১টি নৃগোষ্ঠীসহ মোট ১২ সম্প্রদায়ের জনগণ।

ইএ