ঝিকরগাছায় অকার্যকর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা; বিপাকে দশ গ্রামের কৃষক

যশোরের ঝিকরগাছার ফসলের জমি
যশোরের ঝিকরগাছার ফসলের জমি | ছবি: এখন টিভি
0

যশোরের ঝিকরগাছায় অপরিকল্পিত পুকুর ও মাছের ঘেরের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। প্রায় দুইশো বিঘা জমিতে ফসলের আবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি উপজেলার বামন আলী চাপাতলায় বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটিও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে দশ গ্রামের কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

যশোরের ঝিকরগাছার বেনাকুড়োর পশ্চিম বিলের জমিতে আবাদ করে কয়েকশ কৃষক পরিবার। গত বছরও এ জমিতে ধান, সবজি ও ফুলের আবাদ হয়েছে। তবে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন ও মাছের ঘেরের কারণে পানি প্রবাহের স্বাভাবিক পথ বাধাগ্রস্ত হয়ে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

রবিউল ইসলাম বাবু, বেনাকুড়োর পশ্চিম বিলে রয়েছে তার ষোল বিঘা জমি। এ জমিতে তিনি ধান, পাট, ফুল ও বিভিন্ন সবজির আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে জলাবদ্ধতার কারণে এ বছরে এক শতক জমিতেও আবাদ করতে পারেননি। এতে দিশেহারা তিনি। শুধু বাবু নয়, একই অবস্থা বিলে জমি থাকা শতাধিক কৃষকের।

রবিউল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমরা এখানে ফুলের চাষ করি। ফুলগুলো ডুবে গেছে ফলে সবফুল পঁচে গিয়েছে। কোনো বিকল্প ব্যবস্থা এখনো করা হয়ানি।’

ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, সেখানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে তাদের ফসলের মাঠ, ঘড়-বাড়ি পানিতে ডুবে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক সময় যে খাল দিয়ে বিলের পানি নিষ্কাশন হতো, সেটি এখন প্রভাবশালীদের দখলে। আবার কোথাও ভরাট হয়েছে বিল। সামান্য বৃষ্টিতেই দশ গ্রামের পানি বিলে জমা হচ্ছে। তবে বের হওয়ার কোনো পথ পাচ্ছে না।

যদিও জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে দাবি উপজেলা প্রশাসনের।

যশোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী সরকার বলেন, ‘যে খালগুলো ভরাট হয়েছে সেগুলো খনন করা এবং যেগুলো অবৈধ দখলে আছে সেগুলোর দখল উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে।’

এফএস