মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার উত্তর জামসা আশ্রয়ণ প্রকল্প। ২০০৩ সালে ভূমিহীন, বিধবা ও অসহায় মানুষের জন্য নির্মিত হয় ৬০টি ঘর। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই আশার ঠিকানাতেই এখন দুর্ভোগ। সাত–আট বছর আগে আগুনে পুড়ে যায় ১০টি ঘর। সেই ধ্বংসস্তূপ এখনো পড়ে আছে একইভাবে—কোনো সংস্কার হয়নি, নেই পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ।
২২ বছর ধরে কোনো সংস্কার না থাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই চুইয়ে পড়ে পানি। ভেঙে গেছে বেড়া, দরজা-জানালা। অকার্যকর হয়ে পড়েছে গোসলখানা, টয়লেট আর টিউবওয়েল। মেরামতের সামর্থ্য না থাকায় অনেক পরিবার প্লাস্টিকের বস্তা, পলিথিন টানিয়েই কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছেন। অসংখ্যবার অভিযোগ জানিয়ে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পেলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
বাসিন্দারা জানান, এখানকার সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো কিছু ভালো নেই। আবার এগুলো তারা ঠিকও করে দেন না। বৃষ্টি আসলে বাচ্চাদের সমস্যা হয়। তারা স্কুলে যেতে পারে না।
আরও পড়ুন:
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা একজন ব্যক্তি বলেন, ‘সরকারের কাছে এমন কোনো ব্যবস্থা আছে কি না, গৃহহীন মানুষদের জন্য। আমরা চাই সরকার আমাদের জন্য একটি ব্যবস্থা করে দিক।’
মানিকগঞ্জ সিংগাইর উত্তর জামসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘আমি বারবার দরখাস্ত করেছি। তবে একবারও সাড়া পাইনি। এখন আমরা এভাবেই পলিথিন টাঙিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছি, রোদে পুরছি। নতুন সরকার আসছে সরকার যেন ব্যবস্থা করে।’
দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘যদি তাদের কোনো চাহিদা থাকে তাহলে তারা যথাযথ মাধ্যমে আবেদন করতে পারে। আমাদের স্থানীয় সরকারের যে প্রতিনিধিরা আছেন এবং আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা আছেন তাদের অনুরোধ করব, এলাকাটি পরিদর্শন করে যৌক্তিকতার ভিত্তিতে কি সাহায্যে করা যায় বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখতে।’
দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর ঘরগুলোকে সংস্কার করে আবারও বসবাস উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।





