সুদানে জাতিসংঘ ঘাঁটিতে হামলা: আহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের একজন মানিকগঞ্জের চুমকি

আহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী চুমকি আক্তার
আহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী চুমকি আক্তার | ছবি: সংগৃহীত
0

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একাধিক শান্তিরক্ষী হতাহত হয়েছেন। এ হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার।

আজ (রোববার, ১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চুমকির স্বামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সেনা সদস্য মো. ইকরামুল হোসেন জানান, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান চুমকি আক্তার। গতকাল (শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর) সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছোড়া গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্লিন্ট তার ডান হাত ও ডান পায়ে বিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হেলিকপ্টারে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চুমকি আক্তারের পরিবার জানায়, তার দুই বছর বয়সী একমাত্র ছেলে ইব্রাহিম আরাবী রয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার সময় সন্তানকে শাশুড়ির কাছে রেখে যান তিনি। চুমকি ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।

আরও পড়ুন:

চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, ‘আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ছেলেটাকে আমার কাছে রেখে গেছে। শুনেছি তার ডান হাত আর পায়ে আঘাত লেগেছে। ও বিদেশের হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমাদের কোনো ছেলে নেই।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এ হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), সৈনিক শামীম রেজা (রাজবাড়ী), সৈনিক শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।

আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) এবং মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

এসএস