চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে ১১ টুকরো করলো স্বামী; বাথরুমে ফ্ল্যাশ করে গুমের চেষ্টা

আসামি সুমন
আসামি সুমন | ছবি: এখন টিভি
0

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে তাকে খুন করে মরদেহ ১১ টুকরো করেছেন এক স্বামী। হত্যার পর মরদেহের অংশ কমোডে ফ্ল্যাশ, কিছু অংশ ফ্রিজে ও খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন অভিযুক্ত। নৃশংস এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল (শুক্রবার, ১১ জুলাই) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আজ (শনিবার, ১২ জুলাই) সকালে চান্দগাঁও র‍্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, গত ৯ জুলাই রাতে স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুমন। এরপর মরদেহ ১১ টুকরো করে গুমের পরিকল্পনা করে। তার মধ্যে কিছু টুকরো বাথরুমে ফ্ল্যাশ করে, কিছু ফ্রিজে এবং কিছু খাটের নিচে রাখে সে।

ঘটনার সময় ঘরে থাকা তার তিন বছরের মেয়েটিকে অন্য কক্ষে রেখে স্ত্রীকে হত্যা করে সুমন। খুনের পর সন্দেহজনক আচরণ করতে থাকলে বাসার মালিক ও দারোয়ান দরজা খুলে ঘরে ঢুকে মরদেহের টুকরোগুলো দেখতে পান।

ঘটনার সময় সুমনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে স্থানীয়দের খবর দিতে গেলে সে জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুমনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, সুমন পেশায় একজন পিকআপ চালক। গত বছর বিদেশ থেকে ফিরে স্ত্রীকে পরকীয়ার অভিযোগে সন্দেহ করতেন তিনি। এই সন্দেহ থেকেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

লে. কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কমোডের ভেতরে মাংসের টুকরো ও ঘরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখে আমরা নিশ্চিত হই যে, এটি হত্যাকাণ্ড। সুমন স্বীকার করেছে, সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহের টুকরো টুকরো করে গুম করার চেষ্টা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তাকে খুঁজে বের করেছি এবং আইনের আওতায় এনেছি। এখন আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যেনো এই ঘাতকের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হয়।’

ইএ