রোববার (১৩ জুলাই) দগ্ধ অবস্থায় শাবানা মৃত সন্তান প্রসব করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শাবানার বাবা আব্দুল জব্বার জানান, বছরখানেক আগে তার মেয়ের বিয়ে হয় একই গ্রামের হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারের সঙ্গে। বিয়ের পর শাবানা বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে আক্তার হঠাৎ এসে ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার পর পালিয়ে যায় আক্তার।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে শাবানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসা না পেলে তার জীবনহানির ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শাবানার বাবা জানান, মেয়েটা হাসপাতালে কষ্ট পাচ্ছে, আমাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই। কেউ যদি একটু সাহায্য করতো তাহলে মেয়েটাকে বাঁচানো যেতো।
ঘটনার পর সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় আক্তারকে আটক করে পুলিশ। কানাইঘাট থানার এসআই মো. শাহ আলম বলেন, ‘শাবানা ও আক্তারের বিয়ের পর এটি ছিল তাদের প্রথম সন্তান। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে আক্তারকে আটক করা হয়েছে। শাবানার পরিবার থানায় মামলা করতে এসেছে, প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’