প্রথমে দুদক কর্মকর্তারা বাগাতিপাড়ার তমালতলা থেকে পকেটখালি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তার জন্য ব্যক্তি মালিকানার ফসলি জমি থেকে জোর পূর্বক মাটি কাটা, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের সত্যতা পান।
তবে মাটি কাটা, পরিবহন ও ভরাটের জন্য এলজিইডি প্রায় ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আসিফ এন্টারপ্রাইজ’ জোরপূর্বক অন্যের জমি থেকে মাটি কেটে ভরাট এবং নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করছিলেন। এসময় দুদক কর্মকর্তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
অপরদিকে, দুদক টিম এলজিইডির আওতায় নির্মাণাধীন সিংড়া উপজেলার রাতাল-বিয়াস সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ পরিদর্শন করে। সেখানেও কাজের দরপত্রের সাথে অমিল খুঁজে পান দুদক কর্মকর্তারা। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯কিলোমিটারের এ সড়কটি নির্মাণ করছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান লেনিন। তবে অনুসন্ধান শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানান দুদক কর্মকর্তারা।
এসময় দুদকের সহকারী পরিচালক তানভির আহম্মেদ সিদ্দিকী জানান, দুটি সড়কেই অভিযানে আমরা কিছু অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা, নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের আলামত পাওয়া গেছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি এবং বিষয়টি কমিশনে প্রতিবেদন আকারে প্রেরণ করা হবে।