যখন মাঠে নামা ছিল সাহসের নাম, ক্রিকেট ছিল শুধুই পুরুষের খেলা ঠিক সেই সময়েই ব্যাট হাতে স্বপ্ন দেখেছিলেন কিছু সাহসী নারী। তাদেরই একজন, দেশের প্রথম নারী ক্রিকেট অধিনায়ক মুসারাত কবির আইভি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোচও ছিল একা আলতাফ স্যার। উনিই আমাদের কোচ, ট্রেইনার বলেন, ফিজিশিয়ান বলেন সবই উনি ছিলেন। বাসা থেকে যাওয়াও সমস্যা ছিল, সবার অভিভাবক অনুমতি দিত না। কষ্ট করে গিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সেটা আমরা ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসসহ বিভিন্ন কারণে কন্টিনিউ করতে পারি নি। আমরা চিন্তা করেছি ক্রিকেটকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিব।’
সময় বদলেছে, বদলে গেছে নারী ক্রিকেটের ছবি। এখন দেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ, আর সামনে নারী বিশ্বকাপ! এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কেমন লাগে এ ক্রিকেটারের?
মুসারাত কবির আইভি বলেন, মেয়েরা যে ক্রিকেট খেলতে পারবে, মেয়েদের কাছে যে ক্রিকেট বলে একটা শব্দ আছে এ জিনিসটাই অনেক মেয়েরা জানতো না। আমরা হয়তো শুরু করেছিলাম, কিন্তু সেভাবে ঢাক ঢোল পিটিয়ে আসতে পারিনি, কিন্তু এখন যখন মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতলো আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি।’
আশির দশক থেকে আর্থিক কাঠামোতেও এসেছে পরিবর্তন। এ নিয়েও জানিয়েছেন অভিব্যক্তি।
তিনি বলেন, ‘এখনের মেয়েদের তুলনায় আমাদের কিছু্ই ছিল না বলতে গেলে। খুব ভালো লাগে। কিন্তু আমি বলব একটা মেয়ে ক্রিকেট খেলুক বা ফুটবল এটাইতো তার জব। তার তো এটা দিয়ে সব কিছু মিট আপ করতে হবে। তার খেলাধুলা চালিয়ে যেতে হবে, লেখাপড়া করলে সেটা চালিয়ে যেতে হবে প্লাস ফ্যামিলিরেও দিতে হবে। মেয়েদের যে ফাইন্যান্সিয়ালি হেল্প করেছে এটা বিশাল বড় পাওয়া।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হোক বা না হোক ভালো কিছু যে করবেই, সেই আশাবাদী দেশের নারী ক্রিকেটের এই পথিকৃৎ।
বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, ‘ফাহিমা আছে, জ্যোতি আছে এরা তো ভালো প্লেয়ার। এদের কাছে এক্সপেকটেশন বেশি থাকবে, ফাহিমার কাছেও থাকবে। আমি আশা করি ওরা একটা খুব ভালো পজিশনে যাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা এখনই চিন্তা করছি না। এখন বাংলাদেশে মেয়েদের যে টিম আছে সেটা খুবই ভালো টিম।’
নিজেদের হাতে শুরু করা পথ, আজ যেথায় এসে পৌঁছেছে তাতে দারুণ তৃপ্ত তিনি। বলছেন, এ ধারাবাহিকতা থাকলে বিশ্বজয়ের স্বপ্নও একদিন বাস্তব হবে।