অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই রাজস্ব ভবনের নিচে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক র্যাব-কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও সেনা সদস্য। আন্দোলনকারীদের এনবিআর ভবনের ঢুকতে বাধা দিলে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সড়কে ও ফুটপাতে অবস্থান নেন তারা।
মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিতে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে অপসারণে কোনো আপস করবেন না তারা। এনবিআর সংস্কার ইস্যুতে যে কোনো সময় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় তারা, তবে আলোচনায় বসলেও তাদের প্রথম দাবি থাকবে চেয়ারম্যান অপসারণের।’
এদিকে গত ২৬ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভায় কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার, কর্মকর্তাদের বদলির দুটি আদেশ পুনর্বিবেচনা করা, ১ জুলাই এনবিআর অধ্যাদেশ সংশোধনের বিষয়ে আলোচনার জন্য, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে, রাজস্ব বোর্ড সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও সদস্যদের সভার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যদিও ঐক্য পরিষদের দাবি, ২৬ জুনের ঐ সভায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে ব্যবসায়ীরা, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ চায় না, এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা। বলেন, ফ্যাসিস্টের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এনবিআরের সকল অফিসে কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
এদিকে, গত মে মাস থেকেই রাজস্ব বোর্ডের যৌক্তিক সংস্কারের দাবি আদায়ে কলম বিরতি, কমপ্লিট শাটডাউনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এতে অচল হয়ে পড়ে আমদানি-রপ্তানিসহ রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। এনবিআর থেকেও দপ্তরে উপস্থিতির বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেয়া হলেও আন্দোলন থেকে সরে আসেনি তারা।