ব্যবসায়ীদের পরামর্শ ও কর্মীদের ঈদ উদযাপনের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান । মো.আবু মুছা বলেন, ‘বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু ঈদের সময় কর্মীরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চান। সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই আমরা এই সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ভোমরা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ জানান, সরকারিভাবে বন্দর বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে প্রতিবছরই ঈদের সময় দুই দেশের ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এমন ছুটি পালিত হয়।
তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত মূলত বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী ও ক্লিয়ারিং এজেন্টদের মধ্যকার সমঝোতার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হয়। এতে করে বন্দর এলাকার শ্রমিক, চালক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ঈদের ছুটি স্বস্তিদায়ক হয়।’
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দরের পণ্য চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। ঈদের ছুটিতেও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নির্ধারিত সময় ও নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পার হতে পারবেন।
ভোমরা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জানান, যাত্রীদের চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ নেই। পাসপোর্ট থাকলেই তারা আগের মতোই যাতায়াত করতে পারবেন। আমাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু থাকবে।
ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন (রোববার) থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে। এ সময় আবারও স্বাভাবিকভাবে ভারী পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হবে এবং বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুরোদমে ফিরবে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ১০ দিন বন্দর বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব পড়বে। এতে রাজস্ব আদায়ে সামান্য ঘাটতি হতে পারে। তবে বছরের অন্যান্য সময় এসব ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে ভোমরা অন্যতম। এখান দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামাল, খাদ্য পণ্য, ফলমূল, নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেশিয় পণ্য রপ্তানি করা হয়।