গতকাল (বুধবার, ২৩ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল। তিনি বলেন, ‘বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের আঘাতের মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ থেকে বের করে আনতে এবং একাডেমিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ধাপে ধাপে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’
এর আগে, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এ দুর্ঘটনায় এখনো ১৬৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে ৪৫ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া সিএমএইচ-এ মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, যেখানে ১৫ জন ভর্তি রয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ঢাকার ৯টি হাসপাতালে মোট ৫৭ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।