জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচন। দেড় দশক পর ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের। এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
জুলাই অভ্যুত্থানকে বেগবান করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কী অবস্থা? আদৌ কি হবে জকসু?
আরও পড়ুন:
অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে শিক্ষার্থীদের জকসুর দাবি বহুদিনের। অথচ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেই নেই ছাত্র সংসদের বিধান। অপেক্ষার অবসান নাকি আইনের ফাঁকফোকরে আটকে থাকবে ছাত্রসংসদ নির্বাচন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ছিল আমাদের চেষ্টা।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন পায় ছাত্র সংসদের বিধান। কমিটি হয় খসড়া নীতিমালা তৈরির। ৭ মে বিশেষ সভায় এটি পাসের প্রস্তাব উঠলেও শিক্ষার্থীদের মতামত সংযুক্তির পরামর্শে থেমে যায় সেই প্রক্রিয়া।
এরপর শিক্ষার্থীদের মতামত আহ্বান করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ৩১ মের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা থাকলেও দুই মাস পেরিয়ে গেছে, কার্যক্রমে নেই কোনো অগ্রগতি।
আরও পড়ুন:
এদিকে জকসু গঠনের অগ্রগতি নিয়ে জানতে গেলে মেজাজ হারান খোদ কমিটির সদস্য রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ কমিটির সঙ্গে তার কোনো দায় নেই।
এ নিয়ে কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাসও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খান। অথচ তিনি জানেনই না যে, কমিটিতে তিনি কোন দায়িত্বে আছেন।
তিনি জানান, অনলাইনে মাত্র চারটি মতামত পাওয়ায় এবার অফলাইনে মতামত নেয়া হবে।
জকসু নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটির গুরুত্বহীনতায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাদের দাবি, সব গড়িমসি বাদ দিয়ে দ্রুত নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
জকসুর নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রশাসনের একাংশের দায়িত্বহীনতা, অস্পষ্টতা ও অদৃশ্য গড়িমসিকে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করছে সবাই। তবে দায় এড়ানোর চর্চা থেকে বেড়িয়ে সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে দ্রুতই জকসু নীতিমালার বাতবায়ন হবে— এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।