লোকালয়ে ঢুকছে উজানের পানি। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। এ চিত্র সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাবগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও বিয়ানী বাজার উপজেলার। টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, ‘বন্যার অবস্থা ভালো না। ঘরের ভেতর পানি ঢুকে গেছে। কোমর সমান পানিতে থাকতে হচ্ছে।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যা প্রতিরোধে প্রতিবছর বাঁধ মেরামত করা হলেও নেয়া হয়নি টেকসই কোনো উদ্যোগ।
জেলা প্রশাসন জনায়, দুর্গতদের জন্য পুরো জেলায় ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। আর দুর্গতদের উদ্ধারে কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকার কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা টোটাল ১১ টা আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছি৷ যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আছে তাদের আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ১৮ গ্রামে পানিবন্দী ৪৫০ পরিবার। তলিয়ে যায় এসব এলাকার অধিকাংশ সড়ক। স্থানীয়রা জানান, ‘ঘরের ভেতর পানি ঢুকে রান্নাবান্না বন্ধ। তিনদিন ধরে বাচ্চা নিয়ে বিছানার ওপর বসে থাকতে হচ্ছে।’
রাঙামাটিতে প্লাবিত হয়েছে ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পর্যাপ্ত ত্রাণসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র।