টানা বৃষ্টির কারণে শহরের রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা। ভারী বর্ষণে বাড়ছে সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি।
এদিকে নোয়াখালীতে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক, অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, কালকে রাত থেকেই এ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। অথচ পানি নামার কোন ব্যবস্থা নেই। সকালেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এ এলাকায় চলাচল করার সমস্যা তৈরি হয়েছে। পৌরসভার কাজে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে এলাকাবাসী জানান, পৌরসভা থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হলে দুর্ভোগে পড়তে হতো না এলাকাবাসীকে। পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন রাস্তা নেই, ড্রেনের ব্যবস্থা নেই। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় এ এলাকায়।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে ভারি বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২১৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সবুজবাগ, নতুন বাজার ও তিতাস মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানের সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তলিয়েছে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বীজতলা ও ফসলের ক্ষতির শঙ্কা কৃষকের।
কৃষকরা জানান, ধানের এক হাত উপর পানি আছে এখন। এ অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে কয়দিন পর খাওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে গেছে, ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের সকল সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।