তিউনিসিয়ার উপকূলীয় শহর সোসের মেডিকেল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান কিউর বায়োনিক্স। ল্যাবের ভেতর চলছে রোবটিক হাতের পরীক্ষা। হাতের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চলছে রিয়েল টাইমের পর্যবেক্ষণ।
কিউর বায়োনিক্স স্টার্টআপের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ধাওয়াফি জানান, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে চান তারা। থ্রিডি প্রিন্টিং এবং ইএমজি সিগন্যাল সেন্সর ব্যবহারে কৃত্রিম এ হাতটি হবে হালকা ও আয়ামদায়ক।
মোহাম্মদ ধাওয়াফি বলেন, ‘আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলাম তখন থেকেই কিউর বায়োনিক্স শুরু হয়েছিল। আমরা আরও সাশ্রয়ী মূল্য এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জন্য কৃত্রিম অঙ্গ এবং পুনর্বাসন সমাধান তৈরির জন্য এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কৃত্রিম অঙ্গটির নাম আমরা রেখেছি হ্যানিবল। হ্যানিবলের হাতটি বায়োনিক অঙ্গ। এর জয়েন্টটি ঘোরানো যায়। সকেটের আকার সামঞ্জস্যযোগ্য, ব্যবহারকারী এটিকে তার পছন্দ মতো পরিচালনা করতে পারেন।’
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আরও জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কিউর বায়োনিক্স তার প্রযুক্তি উন্নয়নে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ডলার। কম খরচে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাহায্য আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশেও সরবরাহ করতে চান এ কৃত্রিম আর্ম। এরজন্য বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
চিকিৎসকরা জানান, রোবটিক এই প্রস্থেটিক্স প্রযুক্তিগত কর্মক্ষমতায় বেশ উন্নত। বিদেশি দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের তুলনায় তাদের খরচ ৫০ শতাংশ কম।
কৃত্রিম এ হাত লাগাতে খরচ পড়বে ৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার। ধরণভেদে একেকটি হাত তৈরিতে সময় লাগে এক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত।