৭ জন নভোচারীর জন্য ডিজাইন করা হলেও এতে এক সঙ্গে এখন পর্যন্ত ১৩ জন নভোচারী অবস্থান করেছেন, আর এতে সর্বোচ্চ ৮টি স্পেসক্রাফট ডক করা যায়। গত ১ ডিসেম্বরে ইতিহাসে প্রথমবারের মতন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে ৮টি স্পেসক্রাফট মোট ১০জন নভোচারী নিয়ে ডক করে।
এ স্পেসক্রাফটগুলো রাশিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের। একসাথে এই ৮টি স্পেসক্রাফট ডক করার সুযোগ করে দিতে নিয়ন্ত্রকদের একটি রোবোটিক স্পেসক্র্যাফট সরিয়ে নিতে হয়। প্রাথমিক উৎক্ষেপণকালে এতোগুলো স্পেসক্র্যাফট ডক করার সুযোগ ছিলনা আইএসএসে, যা ক্রমশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ মুহূর্তে আইএসএসে ডক করা মহাকাশযানের প্রথমটি হলো সিগ্নাস টুয়েন্টি থ্রী। নর্থরপ গ্রুমম্যানের এই কার্গো মহাকাশযানটি ২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর স্পেসএক্স রকেটে এক্সপেডিশন সেভেন্টি থ্রী মিশন ক্রুদের জন্য ৫০০০ কেজি রসদ নিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং চার দিন পর এটি আইএসএসে ডক করে। এটি ২০২৬ সালে মার্চ পর্যন্ত ডকড অবস্থাতেই থাকবে এবং ফেরার পথে ৫০০০ কেজি আবর্জনা নিয়ে ফিরবে।
আরেকটি হলো জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির এইচটিভি এক্স ওয়ান কার্গো ক্র্যাফট, যা গত ২৬ অক্টোবর আইএসএস-এ পুনরায় সরবরাহের জন্য ৪,৫০০ কেজি রসদ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি এইএসএসে ৩০ অক্টোবর সফলভাবে ডকিং করে। এটি আরো ছয় মাস পর্যন্ত আইএসএসে থাকতে পারে।
এছাড়া রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি রসকসমসের সয়ুজ এমএস টুয়েন্টি সেভেন ও এমএস টুয়েন্টির প্রথমটি কিছুদিনের ভেতরই নভোচারী নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে আর দ্বিতীয়টি গত ২৮ নভেম্বর পৌঁছেছে আট মাসে মিশনে।
নভোচারী পরিবহণ ছাড়াও রাশিয়ার দুইটি কার্গো ক্র্যাফট প্রগ্রেস নাইন্টি টু ও নাইন্টি থ্রীও রয়েছে আইএসএসে ডক করা। এ দুইটি যথাক্রমে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আইএসএসের জরুরী রসদ নিয়ে আসে। সর্বশেষ দুইটি হল ক্রু ইলেভেন ড্রাগন ও সিআরএস থার্টি থ্রী ড্রাগন।
প্রথমটি চারজন নভোচারীকে নিয়ে আইএসএসে ডক করে, যার ফিরে আসার কথা ২০২৬ সালে। আর দ্বিতীয়টি মূলত কার্গো ক্র্যাফট, যার উদ্দেশ্য রিসাপ্লাই সার্ভিস মিশন। এটিও ফিরে আসবে ২০২৬ সালে।





