ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ, বেড়েছে জ্বালানির দাম

তাফতান সীমান্তে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক
তাফতান সীমান্তে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক | ছবি: এখন টিভি
0

ইসরাইল-ইরান সংঘাতের কারণে গেল ৬ দিন ধরে পাকিস্তানের তাফতান সীমান্তে বন্ধ আছে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল। এতে করে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার রুপি লোকসান গুণতে হচ্ছে পাকিস্তানের একেকজন ব্যবসায়ীকে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে পণ্যের সরবরাহ সংকট। এরইমধ্যে এলপিজি ও ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানির দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কারণে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কয়েক দশক ধরেই কূটনৈতিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এই দুই দেশ। যদিও ১৩ জুন ইরানের ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলার পর গেল ১৬ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় ইসলামাবাদ।

এ ঘোষণার জেরে টানা ৬ দিন ধরে বন্ধ আছে পাকিস্তানের এই তাফতান সীমান্ত। সেখানে আটকে আছে কয়েক ডজন ট্রাক। এতে করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, ৪-৫ দিন ধরে এখানেই বসে আছি। একেকজনের ৬-৭টা ট্রাক আছে। সীমান্ত বন্ধ। ইরান থেকে কোনো পণ্য আসছে না। আমরা অর্ডার আনার জন্য অপেক্ষা করছি। এখানকার মার্কেটে পণ্যের সরবরাহ থমকে গেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য পথ ব্যবহার করে মূলত জ্বালানি, খাদ্য ও গৃহস্থালির পণ্য আনা নেয়া করতো দুই দেশ। কিন্তু টানা ৬ দিন ধরে তা বন্ধ থাকায়, একটি ট্রাকের জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার রুপি লোকসান গুনছেন মালিকরা। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ সংকটের আশঙ্কাও।

তারা জানিয়েছেন, ৬-৭টা ট্রাক আটকে আছে। একেকটা ট্রাকের জন্য প্রতিদিন ২০ হাজার রুপি লোকসান হচ্ছে। সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে ডিজেলের দামও বেশি।

গত ১৬ জুন থেকে তাফতানের জিরো পয়েন্ট, করিডোর গেট ও এএফআই গেট- তিনটি বন্ধ আছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাকিস্তানি পাসপোর্টধারীরা ইরানে প্রবেশ করতে পারছেন না। শুধু ইরানের পাসপোর্ট যাদের আছে তারাই কেবল সীমান্তের কাছে যেতে পারবেন ও ফিরে আসতে পারবেন।

এই অচলাবস্থায় তেহরানের চেয়েও বেশি সংকটে ইসলামাবাদ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাফতানের ৯০ শতাংশ পণ্যই আসে ইরান থেকে। পাশাপাশি সংঘাত আরও বাড়তে থাকায় কবে সীমান্ত খুলবে এবং বাণিজ্য সচল হবে এই দুর্ভাবনাও ভোগাচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

ইএ