যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, সয়াবিন, তুলা ও বিমান আমদানির পরিকল্পনা। এরইমধ্যে গম কেনার একটি চুক্তি হয়েছে। তুলা আমদানির পর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মিরসরাই ইপিজেডে ৬০০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানি থেকে ২৫টি বিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ২৯ জুলাই একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা জানিয়েছে। যদিও এখনো সরাসরি বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়া যায়নি, তবে সরকার আশা করছে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি বৈঠকের ঘোষণা আসতে পারে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আগের দুই দফার আলোচনা ইতিবাচক ছিল বলে আমরা মনে করি। এবার ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) সঙ্গে মূল বৈঠক হবে। আশা করছি, এবারের আলোচনাতেও ভালো কিছু হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং কেনার একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যা ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি গম কেনার চুক্তিও হয়েছে। সয়াবিন ও তুলা কেনার বিষয়েও আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আলোচনায় ভালো ফলাফল আসবে। ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমেই হয়তো সরাসরি বৈঠকেরও প্রস্তাব আসতে পারে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার। শুল্ক কমানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং এখনও সুযোগ রয়েছে আরও আলোচনার।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কোনও লবিস্ট নিয়োগ করেনি। ব্যবসায়ীরা চাইলে তা করতে পারেন। তবে এখানে যে কাঠামোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই কাঠামোয় লবিস্টদের তেমন ভূমিকা থাকবে কিনা, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।’