ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্কের ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশা

0

ট্রাম্প প্রশাসনে ইলন মাস্কের কাজ নিয়ে ধোঁয়াশায় খোদ মার্কিনিরা। সবার কাছে তিনি টেক জায়ান্ট ও ধনকুবের হিসেবেই পরিচিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান শিবিরের হয়ে প্রচারণা অংশ নিয়ে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে হয়েছেন ট্রাম্পের কাছের লোক। বিনিময়ে পেয়েছেন 'ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি' নামে নতুন একটি দপ্তরের দায়িত্ব। এই দপ্তরের মূল কাজ সরকারি ব্যয়ের অদক্ষতা ও দুর্নীতি রোধ করা হলেও, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললেও, সরকারে ইলন মাস্কের প্রকৃত কাজ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয় অনেকের কাছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ২৬ কোটি ডলার খরচ করেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের ফল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সক্ষমতা বিভাগের প্রধান হিসেবে মাস্ককে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ক্ষমতায় আসার আগেই ট্রাম্পের কূটনৈতিক নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আলোচনায় আসেন ইলন মাস্ক। যদিও বিশ্ববাসীর কাছে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। এরই মধ্যে নিজস্ব চিন্তাভাবনায় বিশ্বকে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনাও সাজিয়েছেন তিনি। আর তাকে সহযোগিতার জন্য পাশে আছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এখানেই শেষ নয়, মাস্কের সহযোগীরাও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অংশ। এরই মধ্যে মাস্কের সাবেক ৩ কর্মচারী ফেডারেল সরকারে যোগ দিয়েছে বলে দাবি মার্কিন গণমাধ্যমের। আর ইলন মাস্কের দায়িত্বে আছে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামে নতুন একটি দপ্তর। এই বিভাগের অন্যতম কাজ সরকারি ব্যয়ের খরচ কমানো এবং অদক্ষতা ও দুর্নীতি রোধ করা।

তবে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের দুই সপ্তাহ হতে চললেও, এই দপ্তরের প্রকৃত কাজ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয় অনেকের কাছে। এমনকি এই দপ্তর থেকে ইলন মাস্ক আসলে কী করছেন, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।

মার্কিন গণমাধ্যমে দাবি, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের লেনদেনের পুরো ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে ইলন মাস্কের অধিদপ্তর। ফলে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার তথ্য যাচাই এখন তাদের হাতে। এছাড়া, ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাই, সরকারি ব্যয় হ্রাসের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ককে।

মাস্কের জন্য নতুন করে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন ট্রাম্প। সরকারি ব্যয়ের অপ্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্য জালিয়াতি খুঁজে বের করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সব সিস্টেমের প্রবেশাধিকার দেয়া হয়েছে তাকে। এমন খবরে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ডেভিড লেব্রিক।

সমালোচকদের মতে, রাজনৈতিক উদ্দেশে কেউ অর্থ লেনদেন করলে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য তা হুমকি হতে পারে। ডেমোক্র্যাটদের শঙ্কা, এই সিস্টেমে মাস্ক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। তবে, আপাতত দপ্তরটি কেবল হোয়াইট হাউসের নির্দেশেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সেজু