স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ জুলাই) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অবতরণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান। আগামী ৪ দিন নিজের গলফ কোর্স পরিদর্শনের পাশাপাশি ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য চুক্তি।
স্কটল্যান্ড সফরের আগে ট্রাম্প জানান, রোববার ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। যদিও বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি বলে মন্তব্য করেন রিপাবলিকান এই নেতা। তবে কানাডার সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নেই বলে জানান ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, কানাডার বিষয়ে ভাগ্য সায় দিচ্ছে না। আমার মনে হয়, কানাডার সঙ্গে চুক্তির বদলে শুল্কারোপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ইইউর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন বড় এই বিষয়টিই আমাদের মূল লক্ষ্য।
ইইউ'র কূটনীতিকদের বরাতে রয়টার্স বলছে, জোটভুক্ত দেশগুলোর পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চুক্তি করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ইইউ'র পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুল্কারোপের বিষয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে চায় জার্মানি। তাই ট্রাম্পের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে চুক্তি করায় আগ্রহী বার্লিন। দেশটির অর্থমন্ত্রীর দাবি, চুক্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলেও সংকট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইইউ ও মার্জ প্রশাসন।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্যাথরিন রাইচ বলেন, চুক্তিতে পৌঁছাতে ইইউ'র পক্ষে যা সম্ভব, তার সবই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে চুক্তি করা সম্ভব কী না, তা শতভাগ নিশ্চিত নয়। অটোমোবাইল ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে যে অনিশ্চয়তা চলছে, যত দ্রুত সম্ভব সেটি কাটাতে হবে।
পহেলা আগস্ট থেকে ব্রাজিলের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এড়াতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় জোর দিচ্ছে ব্রাসিলিয়া। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, বাড়তি শুল্কারোপের কারণে চাকরি হারাতে পারেন ব্রাজিলের ১ লাখের বেশি নাগরিক। দেশজ উৎপাদন কমবে ০ দশমিক ২ শতাংশ। তবে প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ওয়াশিংটনের অনীহায় থমকে আছে আলোচনা।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা বলেন, তিনি যদি কথা বলতে চাইতেন, তাহলে মুঠোফোন হাতে নিয়ে আমাকে কল করতেন।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইসলামাবাদ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈঠকে দুর্লভ খনিজের ক্ষেত্রে সম্পর্ক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, পহেলা আগস্টের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় দেশটি।