মুরগির মাংস রপ্তানির শীর্ষ দেশ ব্রাজিল। সম্প্রতি দেশটির একটি বাণিজ্যিক ফার্মে বার্ড ফ্লু'র প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় প্রভাব পড়েছে লাতিন আমেরিকা, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে।
ব্রাজিল থেকে মুরগি আমদানি স্থগিত করায় চিলিতে বেড়েছে মুরগির দাম। বিক্রেতারা জানান, দেশটি থেকে চিলি মুরগি আমদানি স্থগিত করায় বাজারে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। আর ক্রেতারা জানান, চাহিদা মতো বাজারে মিলছে না মুরগির মাংস। তাদের দাবি, কমে গেছে সরবরাহ।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘আমরা বুধবার থেকে মুরগির দাম বাড়িয়েছি। ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। আগে একটি মুরগি পাওয়া যেত ৪ হাজার ৯০০ পেসোতে এখন কিনতে লাগবে ৫ হাজার ৫০০ পেসো। মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।’
আরেকজন বলেন, ‘বাজারে মুরগির সরবরাহ অনেক কম। চিলি ব্রাজিলের ডিম এবং হাঁস-মুরগির প্রধান ভোক্তা। চিলিতে বার্ড ফ্লু যাতে না পৌঁছায় সেজন্য সরকার এবং কৃষি মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে চিলি প্রশাসন। দেশটির কৃষিমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে ব্রাজিলের নিরাপদ খামার থেকে সরবরাহ করা হবে মুরগি। বর্তমানে ব্রাজিলের কাছ থেকে ৭২ শতাংশ মুরগি আমদানি করে চিলি আর ২৫ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকি এড়াতে ব্রাজিল থেকে ডিম ও মুরগি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কলম্বিয়া।
দেশটির খামারগুলো রাখা হবে ২৮ দিনের পর্যবেক্ষণে। এরই মধ্যে কলম্বিয়ার যে খামারে প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছে সেই খামার করা হয়েছে জীবাণুমুক্ত।
মূলত ব্রাজিল থেকে একদিন বয়সী ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানি করে কলম্বিয়া। কলম্বিয়ার পাশাপাশি ব্রাজিল থেকে আমদানি স্থগিত করেছে আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকো।