২০২৪ সালে ৩২.৭৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ঘড়ি রপ্তানি করেছে সুইজারল্যান্ড। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত রপ্তানি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। বর্তমানে মার্কিন শুল্কঝড়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে সুইজারল্যান্ডে ঘড়ি শিল্প।
গুণগতমান, আভিজাত্য ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সব দিক থেকেই এগিয়ে সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি শিল্প। বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ঘড়ি উৎপাদক হওয়ায় ঘড়ির রাজ্য হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে ইউরোপের এ দেশটির।
একশ বছরের বেশি পুরনো অভিজাত শ্রেণির ঘড়ির ব্র্যান্ড রোলেক্সও সুইজারল্যান্ডেরই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের রোষানলে পড়ে মন্দার কবলে বিশ্ব সেরা ঘড়ির এই বাজার। গত এপ্রিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ২০ শতাংশ আর সুইজারল্যান্ডের পণ্যে ৩১ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুল্কারোপ কার্যকরে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে পহেলা আগস্ট পর্যন্ত করার পরও রীতিমতো হতবাক দেশটির ঘড়ি ব্যবসায়ীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি শুল্ক সুইস ঘড়ি শিল্পের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন তারা। কারণ এরইমধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে গেছে। এতে উদ্বিগ্ন সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি ব্যবসায়ীরা।
ঘড়ি ব্যবসায়ী সাচা ডেভিডফ বলেন, ‘অনেক মার্কিন ক্রেতা ভ্রমণে এসে ঘড়ি কিনছেন, কিন্তু আমরা রপ্তানি করতে পারছি না। যা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।’
শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়ার পর তিন মাসের বেশি সময় ধরে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষোভও বাড়ছে সুইস ঘড়ি ব্যবসায়ীদের। যার কারণে ঘড়ির দাম কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য বাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা করছেন তারা। তবে শুল্ক কমানোর প্রত্যাশায়ও রয়েছেন অনেকে।
ঘড়ি ব্যবসায়ী শাহজাইব খান বলেন, ‘আমার মনে হয় ট্রাম্প ইউরোপীয় ও এশিয়ার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে তারা কিছুটা আত্মসমর্পণ করেন। আমার ধারণা এটি সমাধান হয়ে যাবে।’