শনিবার (১২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ একাধিক পোস্টে ট্রাম্প এই নতুন শুল্কের ঘোষণা দেন। ইউরোপ ও মেক্সিকোর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের এ দুই বাণিজ্য অংশীদার যদি পাল্টা শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এদের পণ্যে আরও কয়েকগুণ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে।’
শুল্ক আরোপের ঘোষণা সম্পর্কে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ইইউ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের পরিধি প্রসারিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই আশঙ্কা বাড়ছিল।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ইইউ'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, পহেলা আগস্টের আগে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই শুল্ক দ্বন্দ্ব সমাধানের প্রত্যাশা করছেন তারা। যদিও শুক্রবার ইইউ প্রধানকে পাঠানো চিঠিতে মন্তব্য করেন, বহুদিনের অংশীজন হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য করে সম্পূরক কোনো সুবিধা পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি আগামী নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আমেরিকা ফার্স্ট অবস্থানকে জোরদার করার একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ইউরোপের শিল্প খাত, বিশেষ করে জার্মান রফতানি নির্ভর অর্থনীতি এই শুল্কের কারণে চাপে পড়তে পারে।
এর আগে মেক্সিকো, ইইউ জোটভুক্ত দেশ ছাড়াও চলতি সপ্তাহে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও ব্রাজিলের পণ্যে ৩০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প যা কার্যকর হতে পারে আগস্টের ১ তারিখ থেকে।