নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের মধ্যে যেকোনো মূল্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করতে হবে। ৩ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ হবে, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র না দেয়া পর্যন্ত শহিদ মিনার ছাড়বো না।’
তিনি বলেন, ‘শেরপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হচ্ছে। আমরা এর বিরোধিতা করেছি। এই অঞ্চলের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় হাতি লোকালয়ে চলে আসে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল। শেখ হাসিনা শেরপুরের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজই করেনি। এনসিপি শেরপুরসহ সারাদেশের সুষম উন্নয়নের রাজনীতি করতে চায়।’
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেও আমরা কোনো দৃশ্যমান বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছোবল মেরে উঠতে চেয়েছিল, গোপালগঞ্জ কেন সারাদেশের কোনো জায়গায় আমরা মুজিববাদকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেব না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আওয়ামীলীগের এমপিদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করে গড়ে তোলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাষ্ট্রের ক্ষমতা থাকতে পারবে না। জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই জারি করতে হবে এবং নতুন সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
এছাড়া এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমরা অন্যভাবে কাউকে পীর মানবো না। আগামীর বাংলাদেশ প্রতিরোধের বাংলাদেশ। দেশ হবে মাথা উঁচু করে তাড়াবার বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের এক বছরে যে পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল সে পরিবর্তন হয়নি, তাই পদযাত্রায় নামতে হয়েছে। যখন জাতীয় নাগরিক পার্টির গণজোয়ার শুরু হয়েছে তখন নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
এনসিপি মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘অফিস আদালত থেকে সব জায়গায় এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা সেবক না হয়ে শোষকে পরিণত হয়েছে।’
এসময় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘মাইলস্টোনের ট্রাজেডির পেছনে কার হাত আছে, সেটি দেখতে হবে।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সবচেয়ে বেশি ছিল পুলিশ সংস্কার কিন্তু পুলিশ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। শুধু নির্বাচনের আলাপ। সবচেয়ে বেশি দরকার পুলিশ এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন। থানায় নতুন পুলিশ সদস্য দেয়ার কথা ছিল সেগুলো দেয়া হয়নি। আমরা এমন একজন শিক্ষা উপদেষ্টা পেয়েছি যে শিশুদের দগ্ধের উপর বিশ্রাম করার সময় পায়।’