থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনার পা হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’দেশের সেনারা। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরে ভারী সব অস্ত্র দিয়ে কম্বোডিয়ান সেনারা হামলা করেছে বলে অভিযোগ থাই সামরিক বাহিনীর।
সেসময় আর্টিলারি সেল, দূর পাল্লার বিএম-২১ রকেট নিক্ষেপ করে বলেও অভিযোগ তাদের। এতে থাইল্যান্ডের একাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য আহত হয়েছে বলেও দাবি দেশটির সামরিক বাহিনীর। যদিও থাইল্যান্ড আগে আক্রমণ করায় সেই শোধ নিতেই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি কম্বোডিয়ান সেনাদের।
কম্বোডিয়ার সেনাদের হামলার জবাবে, এফ-১৬ ফাইটার জেট দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় থাইল্যান্ডের সেনারা। এতে কম্বোডিয়ার দু’টি ব্যাটেলিয়ান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এক ফেসবুক পোস্টে থাইল্যান্ডের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের পাঠোনো এফ-১৬ ফাইটার জেট কম্বোডিয়ার ব্যাটেলিয়ান ৮ ও ব্যাটেলিয়ান ৯ সাইট ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
দু’দেশের সীমান্তের উত্তেজনাপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে থাইল্যান্ড সীমান্তের ৮৬টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির স্থানীয় সরকার। সীমান্ত পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত হতে পারে সেই শঙ্কায় দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই।
ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত জানতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।’
গত বুধবার (১৬ জুলাই) থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে পা হারান থাইল্যান্ডের এক সেনা সদস্য। এর সপ্তাহখানেক আগেও একই ঘটনায় আহত হন ৩ থাই সেনা। কম্বোডিয়ার সেনাদের এতে হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এর জেরেই মূলত প্রতিবেশী দুই দেশের সংঘর্ষের সূত্রপাত।
দু’দেশের সংঘর্ষময় এ পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে সব কূটনীতিককে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে কম্বোডিয়ান সরকার। একই সঙ্গে কম্বোডিয়ায় থাকা থাই কূটনৈতিকদেরও দেশ ছাড়ার নির্দেশ সরকারের।