চলতি বছর ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল। শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনের ৫টি ঘাঁটির দখল নিয়েছে পুতিন সেনারা। ১০টি আলাদা হামলায় আঘাত করা হয়েছে সামরিক স্থাপনা, ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি অবকাঠামো, অস্ত্র ভাণ্ডার ও এয়ারফিল্ডে।
এছাড়া কৃষ্ণ সাগরে নামবিহীন ৪টি ইউক্রেনীয় নৌযান ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার। পাশাপাশি, গেলো কয়েক সপ্তাহের ঘাত-প্রতিঘাতে ইউক্রেনের ২৭টি এরিয়াল বোমা, ৭টি রকেট ও ২ হাজারের বেশি ড্রোন প্রতিহত করেছে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
পুতিন বাহিনীর এ সাফল্যের বিপরীতে ইউক্রেনীয় সেনাদের উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পোকরোভস্ক অঞ্চলে রুশ সেনাদের পাল্টা জবাব দিচ্ছে কিয়েভ সেনারা।
পাশপাশি একটি ড্রোন ফ্যাক্টরি পরিদর্শনের পর মন্তব্য করেছেন কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারসেপ্টর উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে এবং এর জন্য জরুরি বাজেটের আওতায় ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অভিযানের সবশেষ তথ্য আমার হাতে এসেছে। সবধরনের আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও আমাদের মুল লক্ষ্য পোকরোভস্ক অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা। সেনারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন।’
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সভা করেছে ১৫ সদস্যরাষ্ট্র। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অভিযোগ করছেন, রাশিয়াকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মদদ দিচ্ছে চীন। প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের চীনা প্রতিনিধির দাবি, চলমান সংঘাতে চীন রাশিয়াকে কোনো ধরণের প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করেনি।
জাতিসংঘের চীনা রাষ্ট্রদূত গেং সুয়াং বলেন, ‘আমরা একাধিকবার এ অধিবেশনে বলেছি, চীন এ যুদ্ধ শুরু করেনি। চীন এর অংশীদারও নয়। আমরা রাশিয়াকে কোনো প্রাণঘাতি অস্ত্র সহায়তা দেইনি।’
জাতীসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া বলেন, ‘চীন যদি চায় চলমান এ সংঘাত শেষ হোক, তাহলে তাদের রাশিয়াকে উসকানি দেয়অ বন্ধ করা উচিত।’
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি কার্যকরে চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইস্তাম্বুলে এ দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে বৈঠকের পরিকল্পনা আছে এরদোয়ানের-বলছে আলজাজিরা।