যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী কোনো অভিবাসী গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তর করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই ট্রাম্প প্রশাসনের। ওয়াশিংটনের এমন ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করছেন অভিবাসী আইন বিশেষজ্ঞরা। যদিও জবাবে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনো অভিবাসীকে ফেরত নিতে চায় না তার নিজের দেশই।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই ব্যাখ্যা যে সঠিক নয়, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেখানে বলা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহের নোটিশে এমন অন্তত ৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর অপরাধের সঙ্গে জড়িত যেসব অবৈধ অভিবাসীকে দক্ষিণ সুদান ও ইসোয়াতিনিতে স্থানান্তর করা হয়েছে তাদের নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এ উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার পরেও অবৈধ কোনো অভিবাসীদের তৃতীয় দেশে স্থানান্তর একবারেই মানবিক সিদ্ধান্ত নয়। পাশাপাশি তারা আরও মনে করেন, তৃতীয় দেশের ভীতি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অভিবাসীদের একটি কড়া বার্তা দিয়ে চায়।
জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এমিলি চের্টোফ বলেন, ‘আমি মনে করি যাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি নেই তাদের কড়া বার্তা দিতেই ট্রাম্প প্রশাসন এ নতুন সমাধানের (তৃতীয় দেশে স্থানান্তর) প্রস্তাব করেছে। এর অর্থ হচ্ছে অভিবাসী বিতাড়ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।’
রয়টার্স আরও বলছে, গত মে মাসে ৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়, কয়েক সপ্তাহ পর তাদের কোনো প্রক্রিয়ায় নিজ দেশের ফেরত পাঠানো হলো তা পরিষ্কার করেনি যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই দ্বিচারিতা ইঙ্গিত করে অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নে ভবিষ্যতে আরও কঠোর অবস্থান নেবে যুক্তরাষ্ট্র।