ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কয়েক ধাপে আল্টিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই তৎপরতার বিপরীতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগই নেয়নি ক্রেমলিন।
ওয়াশিংটন-মস্কো আলোচনায় ফলাফল না আসায় এবার, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে ব্যবহার করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনা বাদ দেয়াসহ সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানলে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন।
পাশাপাশি, মস্কো থেকে তেল কেনায় চীনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চান ট্রাম্প। রাশিয়ার তেল কেনায় চীনের ওপর ৫০-১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে সামরিক জোট ন্যাটোকে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে, এ একই অপরাধে ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন:
ভারতের পর রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে তুরস্ক। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৩২ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে তুরস্ক ছাড়াও মস্কো থেকে খনিজ তেল আমদানি করে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া। ফলে ট্রাম্পের এই পোস্ট থেকে ধারণা করা যায় খনিজ তেলের বাজারে রাশিয়ার আধিপত্য নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় এ তেলের বাজার হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ট্রাম্প কার্ড- বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়া শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্লোভেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিংহুয়া নিউজ এজেন্সিকে তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন বরাবরই সবার থেকে আলাদা। বেইজিং নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি করে না, যুদ্ধে জড়ায় না কিংবা যুদ্ধের পরিকল্পনাও করে না। আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুসহ অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয় নিষ্পত্তি করাই চীনের মূখ্য উদ্দেশ্য- বলে দাবি করেছেন দেশটির চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে ওয়াশিংটন- বেইজিং উত্তেজনার নিষ্পত্তি হতে পারে আজই- স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, চীনা মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর, জি সেভেন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মাধ্যমে চীনা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্কারোপ- ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনায় স্পেনের রাজধানীতে আলোচনায় বসবে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল। যদিও, বেশ কয়েকবার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হলেও মেলেনি কোনো সমাধান সূত্র।





