সাংবাদিকদের উপর দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর এই আক্রমণের দৃশ্য অধিকৃত পশ্চিম তীরের। ফিলিস্তিনিদের জলপাই বাগানে ঢুকতে বাধা ও মারধর করার সময় খবর সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর এভাবেই অতর্কিত হামলা চালায় অন্তত ৫০জন মুখোশধারী দখলদার।
নাবলুস শহরের দক্ষিণে অবস্থিত বেইতার গ্রামের এই ঘটনায় রয়টার্সের দুই কর্মী, একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা পরামর্শক আহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ ফিলিস্তিনিও। তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে নাবলুস শহরের একটি হাসপাতালে। জলপাই তোলার মৌসুমটিতে এভাবেই আক্রমণের মাত্রা বাড়াচ্ছে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা।
বাসিন্দারা বলেন, আক্রমণের সময় কৃষকরা হেঁটে চলে যাচ্ছিলো। আমিও এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই তারা অতর্কিত পাথর ছুঁড়তে থাকলো। এমন পরিস্থিতিতে আমি আগে কখনো পরিনি। এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এই ভয়াবহ আক্রমণে আমরা হতবাক। এটা বর্বরতা ছাড়া আর কিছু নয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবারও হত্যা করা হয়েছে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে। এতে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে দুই বছরের বেশি সময়কার ইসরাইলি আগ্রাসনে মোট প্রাণহানি ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:
মৃত জিম্মির মরদেহ হামাস গড়িমসি করছে এমন অভিযোগে ইসরাইল হামলা অব্যাহত রাখলেও; বাস্তবতা হলো ধ্বংস্তুপের ভেতর থেকে মৃত জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে রীতিমতো লড়াই করে যাচ্ছে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। শনিবার দক্ষিণ রাফার একটি সুরঙ্গ থেকে এক ইসরাইলি সেনার দেহাবশেষ উদ্ধারের খবরও দিয়েছে হামাস। এরপর আজও গাজায় চলছে হত্যাযজ্ঞ।
এমন পরিস্থিতি আবারও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল। নেতানিয়াহু'র যাবতীয় পদক্ষেপে গণতন্ত্রও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য বিক্ষুব্ধ ইসরাইলিদের। এমনকি বর্তমান ইসরাইলি সরকারের পদক্ষেপে গাজায় যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেস্তে গেলে, বাকি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে শঙ্কাও করছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমাদের সরকার গণতন্ত্রকে একনায়কতন্ত্রে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছে। তাই এর প্রতিবাদ করতে এবং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে এখানে জড়ো হয়েছি। এই সরকার যে সব আইন পাস করছে বা পাস করতে চায় সেগুলো নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য উদ্বিগ্ন, আমি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য উদ্বিগ্ন। তাই রাস্তায় নেমেছি।
এদিকে শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও আলাদা বিমান হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে ইসরাইল। তবে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গোষ্ঠীর অস্ত্র পাচারকারীদের লক্ষ্য করে হামলার দাবি তেল আবিবের। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই এমন নানা অজুহাত দেখিয়ে বারবার লেবাননে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী।।





