মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব গোপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র?

আকাশে মহাজাগতিক বস্তুর উপস্থিতি
আকাশে মহাজাগতিক বস্তুর উপস্থিতি | ছবি: এখন টিভি
0

মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব ৮০ বছর ধরে গোপন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র? নতুন এক অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রে এমনই বিস্ফোরক দাবি পরিচালকের। জানালেন, সাক্ষাৎকারে নিজ মুখেই কমপক্ষে ৩৪ জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা দাবিতে সত্য- অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু ও মানুষের নয়- এমন দেহ। এই বিষয়ে প্রথম মুখ খুলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনটাই মত পরিচালকের।

দশকের পর দশক ধরে আকাশে অদ্ভুত বস্তু দেখার কথা জানিয়ে এসেছেন অনেক মিলিটারি পাইলট, রাডার অপারেটর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। বরাবরই এসব খবর হয় চাপা পড়েছে গোপনীয়তার আড়ালে, না হয় ভিত্তিহীন বলে উড়িয়েই দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কংগ্রেসে বিভিন্ন সময় একের পর এক শুনানি আর সরকারি টাস্ক ফোর্স গঠন সত্ত্বেও আসলে আকাশে কি দেখেছে মানুষ, সে বিষয়ে ন্যূনতম স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করতে পারেনি মার্কিন প্রশাসন। তবে এবার হয়তো এ রহস্যের ওপর থেকে পর্দা উঠবে, নতুন এক অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রে এমনই বিস্ফোরক দাবি পরিচালকের।

তথ্যচিত্রের নাম ‘দ্য এইজ অব ডিজক্লোজার’। ড্যান ফারাহর পরিচালনা ও প্রযোজনায় পর্দায় উঠে এসেছে, ৮০ বছর ধরে মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব গোপনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ যুক্তরাষ্ট্রে সরকারে থাকা ৩৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার রয়েছে তথ্যচিত্রটিতে; যারা স্বচক্ষে অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু ও মানুষের নয়- এমন দেহ দেখার দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন:

দ্য এইজ অব ডিজক্লোজার পরিচালক ও প্রযোজক ড্যান ফারাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কংগ্রেস, এমনকি প্রেসিডেন্টকেও অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তথ্য ফাঁস করে দেয়া কিছু মানুষের কল্যাণে গেলো কয়েক বছরে কংগ্রেস ও প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা জানতে পেরেছেন যে কিছু ঘটছে এবং এখন তারাও মার্কিন জনতা আর নিজেদের জন্য সত্যটা জানতে চান।’

তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, মহাজাগতিক বুদ্ধিমত্তা আর তাদের উন্নত প্রযুক্তি খতিয়ে দেখতে কীভাবে গোপন স্নায়ুযুদ্ধে মেতে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলো। ব্যাখ্যার অতীত এই বিষয়ে প্রথম মুখ খুলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনটাই মত পরিচালকের।

দ্য এইজ অব ডিজক্লোজার পরিচালক ও প্রযোজক ড্যান ফারাহ আরও বলেন, ‘যতোজন মানুষের সাক্ষাৎকার আমি নিয়েছি, প্রত্যেকে এটা স্পষ্ট করেছেন যে পরিস্থিতির বাস্তবতা নিয়ে তাদের মনে কোনো প্রশ্ন নেই। এটা খুবই বাস্তব অবস্থা। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সমগ্র মানবতাকে জানানো যে আমরা মহাবিশ্বে একা নই এবং এ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র পথ দেখাবে- ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় মুহূর্ত উপভোগ এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।’

তিন বছরের বেশি সময় ধরে তথ্যচিত্রটি নির্মাণের কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২১ নভেম্বর মুক্তি পাবে ‘দ্য এইজ অব ডিজক্লোজার’। বিশ্বব্যাপী দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।

এফএস