ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী বসরা। আরব বিশ্বের ভেনিস হিসেবে পরিচিত দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর বসরা। এই নদীতেই যেন নতুন করে ফিরেছে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতা।
বসরার জলপথে ভাসছে প্রাচীন এই সভ্যতার শতাধিক নৌকা। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার নকশার উপর ভিত্তি করে নতুন করে নির্মিত এই নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় বাসিন্দা।
প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে ইরাকে ১০০টি ঐতিহ্যবাহী নৌকার পাশাপাশি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হচ্ছে পাণ্ডুলিপি। সংশ্লিষ্টরা জানান, সুমেরীয় এবং ব্যাবিলনীয়সহ প্রাচীন ইরাকি সভ্যতায় ব্যবহৃত নানা ঐতিহ্য সবার কাছে তুলে ধরতেই এমন আয়োজন।
ঐতিহ্যবাহী নৌকার আয়োজকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এই স্থানটি সামুদ্রিক নৌকাগুলোর প্রতি আরো বেশি আকর্ষণ তৈরি করেছে। ব্যাবিলনীয় এবং সুমেরীয় যুগে এই নৌকাগুলো পরিবহনের কাজে ব্যবহার হতো। প্রাচীন পদ্ধতি সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
স্থানীয় একজন বলেন, ‘বসরার একজন বাসিন্দা হিসেবে আয়োজনটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাই।’
উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমরা সামুদ্রিক ঐতিহ্যের অবশিষ্টাংশ নথিভুক্ত এবং পরীক্ষার জন্য কাজ করছি। আমরা এমন লোকদের খুঁজে পেয়েছি যারা এগুলো নিয়ে কাজ করে এবং আগে যারা নৌকা তৈরি করতো তাদের বংশধর। আমাদের কাছে বৃত্তাকার আকৃতিসহ নানা ধরনের নৌকা রয়েছে।’
অন্য একজন বলেন, ‘সুমেরীয়দের সময় থেকে ভিন্ন ধরনের কিছু নৌকা ব্যবহার হতো, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা নৌকাগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছি।’
প্রাচীন এই সভ্যতা জনগণের সম্মুখে তুলে ধরতে একসঙ্গে কাজ করেছে হেরিটেজ সংরক্ষণ তহবিল, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং অ্যালায়েন্স ফর দ্য প্রোটেকশন অফ হেরিটেজ ইন কনফ্লিক্ট এরিয়াসসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।