ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কালোজাদুকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ইসরাইল!

কালোজাদুর প্রতীকী, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু
কালোজাদুর প্রতীকী, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু | ছবি: সংগৃহীত
0

ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে কালোজাদুকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ইসরাইল। ইরানের এক সাংবাদিকের এমন চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে তোলপাড় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। হিব্রু ভাষায় লেখা তাবিজ মিলেছে বলেও দাবি ওই সাংবাদিকের। এসব বিষয় তুলে ধরে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে খোদ ইসরাইলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।

গেল ১৩ জুন গভীর রাতে হঠাৎ ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। চলে তেহরানের সামনতালে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এরপর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত টানা ১২দিন যতো হামলা চালিয়েছে, তার অধিকাংশই রাতের আধারে। অন্ধকারে ইসরাইলি আক্রমণের কৌশলে তৈরি হয় রহস্য।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এ সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সমর্থিত গণমাধ্যম জাভান-এর সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ গাঞ্জি। সামাজিক মাধ্যম এক্স- এ করা এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, যুদ্ধের সময় ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে জ্বিন ও কালোজাদু প্রয়োগ করেছিলো ইসরাইল। সাইবার হামলা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় ইসরাইল গোপনে এই আধ্যাত্মিক কৌশল ব্যবহার করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

আব্দুল্লাহ গাঞ্জি শক্তভাবে দাবি করেন যে, তেহরানের রাস্তায় কিছু কাগজ ও তাবিজ পাওয়া গেছে। যেগুলোতে হিব্রভাষা ও ইহুদীদের প্রতীকী চিহ্ন রয়েছে। আর এগুলো মূলত জাদুটোনার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি তান্ত্রিকদের সাথে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এ বিয়ষ নিয়ে।

অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের যুগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আব্দুল্লাহ গাঞ্জি’র এমন দাবি বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। মধ্যযুগীয় কুসংস্কার উল্লেখ করে এই অভিযোগ এরইমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আব্দুল্লাহ গাঞ্জির দাবি নিয়ে উপহাস করতেও ছাড়েনি মোসাদ। ভূতের ইমোজি দিয়ে ব্যাঙ্গার্থক অর্থে মোসাদের ওই পোস্টটি শেয়ারও করেছেন ইসরাইলি রাজনীতিবিদ ওয়ালিদ গাদবান।

এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, ইরান এই ধরনের অভিযোগ এনে হয়তো তাদের কৌশলগত দুর্বলতা আড়াল করতে চাইছে। বিশ্লেষকরাও মনে করেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যর্থতা ও জনগণের ক্ষোভকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতেই হয়তো এই ধরনের ব্যাখ্যা সামনে আনছে ইরান।

এসএস