এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির সময় সমন্বয়ক রিয়াদসহ পাঁচজনকে আমরা আটক করি। তারা শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে আগে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এর আগে ১০ লাখ টাকাও নিয়েছিলেন। শনিবার (২৬ জুলাই) তারা বাকি টাকা চাইতে ওই বাসায় গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।’
বিষয়ে ডিএমপির গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘আটকদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, চার থেকে পাঁচদিন আগে আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় যান তাকে ধরতে। তখন শাম্মী আহমেদের স্বামী তাদের অফার করে তোমরা আমার ছেলের মতো। আমি তোমাদের কিছু এন্টারটেইনমেন্ট করি, আমার বউকে নিয়ে যেও না। ওই সময় রিয়াদকে পাঁচ লাখ টাকা দেন শাম্মী আহমেদের স্বামী।’
তিনি বলেন, ‘রিয়াদের বক্তব্য অনুযায়ী ওই পাঁচ লাখ টাকা নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু। এ টাকা দিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ মেটায় এবং একটা মোটরসাইকেল কেনে। বাকি টাকা নিতে শনিবার (২৬ জুলাই) ওই বাসায় যায় তারা।’
ঘটনার জেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) দুই নেতাকে তাদের নিজ নিজ সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃতদের সাথে কোনো প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।