আজ (সোমবার, ১১ আগস্ট) তাদের মোবাইল কথোপকথনের এ অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালে এ ফোনালাপ জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন। এর আগে তদন্ত সংস্থা এ অডিও রেকর্ড জব্দের পর ফরেনসিক করে সত্যতা পেয়েছে।
গত বছরের ১৪ জুলাই রাত ১১টা ২৮ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মকসুদ কামালের। কথোপকথনের শুরুতেই সাবেক ভিসি শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘প্রত্যেক হল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তালা ভেঙ্গে বের হয়ে গেছে। এখন রাজু ভাস্কর্যে চার পাঁচ হাজার ছেলেমেয়ে জমা হয়েছে। মল চত্বরেও জমা হয়েছে, এখন তারা যেকোনো মূহুর্তে আমার বাসা আক্রমণ করতে পারে।’
জবাবে হাসিনা বলে, ‘তোমার বাসা প্রোটেকশনের কথা বলে দিছি।’ এক পর্যায়ে সাবেক ভিসি বলেন, ‘বলতেছে আমরা সবাই রাজাকার।’ উত্তরে হাসিনা বলেন, ‘রাজাকারের তো ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও তাই করবো, একটাও ছাড়বনা, আমি বলে দিছি।’
ড. মকসুদ কামাল আন্দোলনকারীরা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে বললে হাসিনা বলেন, ‘সমস্ত ক্যাম্পাসে বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশ সব রকমের ব্যবস্থা হইছে। আন্দোলন প্রসঙ্গে সাবেক ভিসি বলেন, ‘ঝামেলাটা যাক তারপর মেইন যারা আছে সবাইকে ধরে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করবো।’
ঢাবির সাবেক ভিসি বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলে পেলে আমার বাসায় ছিল সন্ধ্যা থেকে। ওদের বসে ওদের হলে হলে যেনো ছাত্রলীগকে সংঘবদ্ধ রাখে এবং ঢাকা উত্তর, দক্ষিণকে যেনো খবর দেয়।’
অডিওতে মাকসুদ কামালকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ছাত্ররাজনীতির জন্য কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলেছিল, ঐ রকম অ্যাকশন নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
তাদের ফোনালাপে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের প্রসঙ্গ আসলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছে বেয়াদবির একটা সীমা থাকে।’ পুরো কথোপকথনে ছাত্রছাত্রীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে কথাটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবার উল্লেখ করেন।