মৃত্যুর পর কেউ ফিরে না এলেও এসেছিলেন স্বয়ং যিশু খ্রিষ্ট। এমনটাই বিশ্বাস খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের। এরপর পুনরায় ভক্তদের সঙ্গে বসবাসও শুরু করেন। যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৪০ দিন। পরবর্তীতে চিরদিনের জন্য স্বর্গে গমন করেন এই ধর্ম প্রচারক, আর ফিরে আসেননি। ঐতিহাসিক এই দিনটি ছিল রোববার (২০ এপ্রিল)। যেটিকে তার অনুসারীরা ইস্টার সানডে হিসেবে পালন করে থাকে।
যিশুর পুনরুত্থানের এ দিবসটি অর্থডক্স ও ক্যাথলিকদের কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে ইস্টার সানডে উদযাপনে ডিম একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এর ব্যবহার নিয়ে অনেকের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে অনেক কৌতূহলও।
খ্রিস্টধর্মে ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। তাই দিনটি উদযাপনের মূল অনুষঙ্গ হিসেবে ডিম ব্যবহার করা হয়। কেউ কেউ যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ডিম সাজিয়ে থাকেন। এদিন শুভ চিহ্নের ইঙ্গিত হিসেবে একে অপরকে রঙিন ডিম উপহার দিয়ে থাকেন। বাবা-মায়েরা ডিম লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের তা খুঁজে বের করার রেওয়াজও রয়েছে। বিশেষ সম্মানের সঙ্গে এর ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে রাশিয়া ও পোল্যান্ডে ইস্টার এগ নতুন জীবনের প্রতীক।
অন্যদিকে হ্যালোইন, ক্রিসমাস নির্দিষ্ট তারিখে উদযাপন করা হলেও ইস্টারের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রম। কারণ প্রতিবছরই এর তারিখ পরিবর্তিত হয়। মূলত বসন্তের প্রথম পূর্ণিমার পরবর্তী রোববারে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। সে হিসেবে এবার ২০ এপ্রিল পালন করা হবে ইস্টার সানডে।
শনিবার রাত থেকেই গির্জায় গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা শুরু হয়ে যায়। যার অপর নাম ইস্টার ভিজিল। মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশুকে স্মরণ করে ভক্তরা।
এদিকে ইস্টার উপলক্ষে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে পুণ্য সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে। এতে মশাল মিছিল করে দেশটির বাসিন্দারা। যুক্তরাজ্যের চিড়িয়াখানাগুলোতেও পেঙ্গুইন, বিড়াল, খরগোশ, পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীদেরকে ডিম-মাছ ও বিভিন্ন পদের খাবার উপহার দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রোমান ক্যাথলিকরা ইস্টারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও পোপ ফ্রান্সিসের অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে শারীরিক নানা সমস্যায় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মযাজক।