কয়েকদিন আগেও খাতুনগঞ্জে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। একই মানের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়। অর্থাৎ তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিন ধরে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। কৃষকদের হাতে পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা।
আরও পড়ুন:
এছাড়া দেশি পেঁয়াজের মজুদও শেষের দিকে হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।
এদিকে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আদার দামও। সপ্তাহ ব্যবধানে চীনা আদা কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।
আমদানিকারক ও দোকানদাররা বলছেন, চীনে আদার বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চীনা রসুনের দাম।
আমদানি বাড়ানো না গেলে সামনে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩২ থেকে ৩৫ লাখ টন। চাহিদার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। এছাড়া চাহিদার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আদা আমদানি করতে হয় চীন ও ভারত থেকে।