দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখা এ আয়ের সিংহভাগ লম্বা সময় ধরে আসছে ইউরোপের দেশগুলো থেকে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। একই সময়ে ইইউ বাজারে পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
এমন বাস্তবতায় তৈরি পোশাক খাতে শ্রমের অগ্রগতি দেখতে ঢাকা সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। আর এমন একসময় তারা ঢাকা সফর করছেন যখন পোশাক কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সংঘাতের জেরে চলছে মালিক-শ্রমিক স্নায়ুযুদ্ধ।
ঢাকা সফরের চতুর্থ দিন ছয় সদস্যের ইইউ মিশনের সূচি শুরু হয় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে। শ্রম, বাণিজ্য আর পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা করেন পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বাধীন ইইউ মিশন। বৈঠকে ট্রেড ইউনিয়ন, ন্যূনতম মজুরি, শিশু শ্রম নিরোধসহ বেশকিছু বিষয়ে প্রশংসা ছাড়াও উঠে আসে গঠনমূলক সুপারিশও।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, 'কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম ইউনিয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে আরো উন্নতির জায়গা আছে বলে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল, এছাড়াও ইউরোপের বাজারে আমাদের যে জিএসপি প্লাস সুবিধা আছে সে বিষয়ে কথা হয়েছে।'
এরপর দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন সফরকারীরা। সেখানেও শ্রম খাতের জন্য গৃহীত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি। তবে এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কোনো পোশাক কারখানা বন্ধ নেই, আজকে (বুধবার) ২ টি কারখানা ছাড়া সব কারখানা খোলা আছে। কিছু মানুষ উসকানি দিয়েছে এসবকিছুর পেছনে।'
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সফরের পর্যবেক্ষণ ইউরোপের বাজারে জিএসপির সময়সীমা বৃদ্ধি আর জিএসপি প্লাসের আওতায় আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই দেশের পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে ইইউ মিশনকে উৎসাহ জোগানোর অনুরোধ করা হয় বাংলাদেশের তরফে।