গাছ কাটা বন্ধে কেন এক সপ্তাহে কমিটি করা হবে না জানতে চেয়ে রুল

0

সারাদেশে অবাধে গাছ কাটা বন্ধে কেন সাত দিনের মধ্যে কমিটি করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে আগামি সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়েও কমিটি গঠনের নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার, ৭ মে) বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামান ও বিচারপতি জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি করে এই রুল জারি করেন।

রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব, পরিবেশ সচিব, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে সাত দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটকারির আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, 'সরকারের বিভিন্ন জায়গায় গাছ কাটা, বিশেষ করে ব্যক্তিগত গাছ ব্যতিত অন্য গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কেন কমিটি গঠন করা হবে না এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে আদালত। এবং পরিবেশ সচিবকে বলেছেন সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, যেখান থেকে ঢাকা শহরের গাছ কাটার অনুমতি নিতে হবে।'

সেই সঙ্গে যশোরে সদর উপজেলার একটি সড়কে তিন কিলোমিটারের গাছ কাটার সিদ্ধান্তের সবশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

গেল এপ্রিল থেকে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত জীবনে আলোচনায় উঠে আসে পরিবেশ বিপন্নের ক্ষতিকর দিকগুলো। সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে কোন প্রকল্প বা স্থাপনার কাজ শুরু হলেই অবাধে গাছ কেটে নষ্ট করা হয় পরিবেশের ভারসাম্য। যদিও গাছ কাটা বন্ধে কোনো নীতিমালা বা আইন করেনি সরকার। 

মনজিল মোরশেদ আরও বলেন, 'ডিসি এবং ইউএনওদের একটা সার্কুলার ইস্যু করার জন্য। তারা যেন তাদের জেলা এবং উপজেলায় সাত সদস্য বিশিষ্ট একটা কমিটি গঠন করে দেয়। যে কমিটির অনুমতি নিয়ে গাছ কাটতে হবে।'

এমন প্রেক্ষাপটে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ গাছ কাটা বন্ধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে।

সেজু