ঈদযাত্রা: সড়ক পথের পাশাপাশি ট্রেনেও ঘরমুখো মানুষের চাপ

যাত্রীরা ট্রেন উঠছেন
যাত্রীরা ট্রেন উঠছেন | ছবি: এখন টিভি
0

ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে ও প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সড়ক পথের পাশাপাশি ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ। ভোগান্তি এড়াতে পরিবার নিয়ে অনেকেই আগেভাগে বাড়ি ফিরছেন। তবে গতকাল (বুধবার, ৪ জুন) থেকেই ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীর চাপ তেমন দেখা যায়নি।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ জুন) সকাল থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের চাপ তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। সঠিক সময়েই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যের আন্তঃনগর ট্রেনগুলো।

যাত্রীরা বলছেন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ঈদযাত্রা কিছু নির্বিঘ্ন হচ্ছে। ট্রেনে যারা অগ্রিম টিকেট কাটতে পারেননি তাদের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকেটের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রামে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রীর চাপ তেমন না থাকলেও উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহের ট্রেনগুলোর ছাদেও যাত্রীদের চাপ ছিল বেশ লক্ষণীয়।

সড়ক পথের জট এড়াতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন ট্রেন। অগ্রিম টিকিট না থাকায় বিড়ম্বনাও পোহাতে হয় তাদের। আসন বিহীন টিকিট পেলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে বসে পাড়ি জমাচ্ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। উত্তরাঞ্চলের ট্রেনযাত্রার বাইরে অন্যান্য গন্তব্যে যাত্রা ছিলও স্বস্তিদায়ক। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রিয়জনদের কাছে যেতে পারাটাই সব কিছুর আগে।

কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীরা ছুটে চলছে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো লালমনিরহাটের ট্রেন বুড়িমারি এক্সপ্রেসের দিকে। শুধু বুড়িমারিই নয় সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহের সবগুলো ট্রেনেই যাত্রীদের চাপ পৌঁছেছে বগীর ভিতর থেকে থেকে ছাদ অবধি। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানান, টিকিট কাটার সময় ঝামেলা হলেও এবারের যাত্রা অন্যবারের চেয়ে আরামদায়ক। এবারের ব্যবস্থাপনা আগেরবারের চেয়ে ভালো লাগছে।

স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় খুশি যাত্রীরা। ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। তবে যাত্রা আরও আরামদায়ক করতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছেন কেউ কেউ।

যাত্রীরা কেউ কেউ জানান, ঈদ যাত্রা আরও আরামদায়ক করতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। ট্রেনের ভেতরে সিট আছে ৫০/৬০ টা কিন্তু যাত্রী উঠেছে ৩০০/৪০০। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জন্য ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। শিডিউল বিপর্যয় না থাকা ও সময়মত সব ট্রেন ছাড়ায় সন্তুষ্ট যাত্রীরা।

এসএস